প্রথম ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেল নগদ ও কড়ি

প্রথম ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেল নগদ ও কড়ি
প্রথম ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেল নগদ ও কড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পাচ্ছে ডাক বিভাগের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ ও বেসরকারি উদ্যোগ কড়ি। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়। 

এছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ, ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটল এবং ১০টি বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোগ ডিজিটেন্টকে ডিজিটাল ব্যাংকিং উইং খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আমরা ৫২টি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য আবেদন পাই। এরপর তিনটি কমিটির মাধ্যমে এই আবেদনগুলো মূল্যায়ন করা হয়। মোট ১০০ নম্বরের ওপরে আমরা এগুলোকে স্কোরিং করেছি। মূলত বিজনেস আসপেক্ট, কনটেক্সট অব দ্যা বিজনেজ এবং সিকিউরিটির ওপরে স্কোরিং করে ৯ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যারা ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে।’

আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ব্যাংক দুটিকে লাইসেন্স দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন,  লাইসেন্স পাওয়া ডিজিটাল ব্যাংক দুটি হচ্ছে: নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি এবং এসিআই-এর কড়ি ডিজিটাল পিএলসি। নীতিগত অনুমোদন পাওয়া অপর ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হলো ১০ ব্যাংকের উদ্যোগে গঠিত ডিজিটেন ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার ডিজিটাল ব্যাংককে ডিজিটাল উইং। এছাড়া দুই পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর ৬ মাস পর সেবা পর্যালোচনা করে আরও তিন ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো তিনটি ফিনটেক প্রতিষ্ঠানও স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক ও জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক।

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ১২৫ কোটি টাকা মূলধন লাগবে এলওআইতে ডিজিটাল ব্যাংকগুলোকে অবকাঠামো স্থাপন এবং সেবা চালু করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হবে।

মেজবাউল হক বলেন, ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না। এ ব্যাংকের কোনো ফিজিক্যাল শাখা-উপশাখা কিংবা এটিএমও থাকবে না। এছাড়া সশরীরর লেনদেন সেবাও দেবে না ডিজিটাল ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালিত হবে ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত গাইডলাইন অনুসারে।