নির্বাচন আয়োজনে সমন্বয়হীনতা নেই: ইসি আহসান হাবিব 

নির্বাচন আয়োজনে সমন্বয়হীনতা নেই: ইসি আহসান হাবিব 
নির্বাচন আয়োজনে সমন্বয়হীনতা নেই: ইসি আহসান হাবিব 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কোনো সমন্বয়হীনতা নেই বলে দাবি করেছেন একজন নির্বাচন কমিশনার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে এক ধারণাপত্রে উল্লেখ করার পর এ নিয়ে দুই কমিশনারের ভিন্নমতের প্রেক্ষিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান। 

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আহসান হাবিব বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ইসির মধ্যে সমন্বয়হীনতা নেই। এখনো ভোটের অনুকুল পরিবেশ নেই বলে ইসির ধারণাপত্রের পর্যবেক্ষণ বাস্তবিক। এ নিয়ে অন্য কমিশনারে বক্তব্য ব্যক্তিগত।’ 

কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হচ্ছে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। নির্বাচন এগিয়ে এলেও এখনও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে মুখোমুখি অবস্থানে। বিএনপি করছে সরকার পতনের আন্দোলন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে অনড়।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২৬ অক্টোবর গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সাথে কমিশনের এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সম্পাদকদের কাছে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রের সাথে দেওয়া হয় দুই পৃষ্ঠার এক ধারণাপত্র। এতে বলা হয়, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি এখনও হয়ে ওঠেনি।

এই ধারণাপত্র সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে গত সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানসহ আরও একজন কমিশনার। কমিশনের একজন সদস্য হয়েও কোনো মতামত নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন আনিছুর।  

ইসি আনিছুর বলেন, ‘আমি এটার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আরও একজন মাননীয় কমিশনার আছেন। তাদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা এটা তারা বলতে পারবেন। আমি এ বিষয়ে সম্পৃক্ত না বা আমি এখনও এ ধরনের অফিসিয়াল কোনো কাগজ পাইনি।’ 

নির্বাচনের পরিবেশ নেই—কথাটির কোন ভিত্তি নেই বলে মনে করেন আনিছুর রহমান। কমিশনের এই বক্তব্যের সাথে মোটেও একমত নন তিনি।

এই কমিশনার বলেন, ‘এ রকম বলা হয়েছে যে, নির্বাচনের পরিবেশ নাই বা পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। আমি মনে করি না এটা সঠিক। নির্বাচনের পরিবেশ নাই, এটার কোনো ভিত্তি নাই।’  

একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষে এখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ভোট হতে হবে এ বছরের নভেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে। নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে জানিয়েছে, নভেম্বরে তফসিল আর জানুয়ারির শুরুতে হতে পারে ভোট।