আন্তর্জাতিক বাজারে আরও কমলো তেলের দর

আন্তর্জাতিক বাজারে আরও কমলো তেলের দর
আন্তর্জাতিক বাজারে আরও কমলো তেলের দর

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে দিন দিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়ছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির দিকে মনোনিবেশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। তাতে সোমবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর আরও কমেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দর হ্রাস পেয়েছে ৩১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দাম স্থির হয়েছে ৯১ ডলার ৮৫ সেন্টে। আগের কর্মদিবসে যা ছিল ৯২ ডলার ১৬ সেন্ট।

একই দিনে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দরপতন ঘটেছে ৪০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৭ ডলার ৬৮ সেন্টে। আগের দিন তা ছিল ৮৮ ডলার ৭৫ সেন্ট।

গত সপ্তাহে তেল চুক্তি ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহ তা বাড়লো। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনটি হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা জেগেছে।

বিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিভিএমের বিশ্লেষক টমাস ভার্গা বলেন, এ অঞ্চলে সংকট বাড়লে অর্থনৈতিক মন্দা বাড়বে। তেলের দামও বৃদ্ধি পাবে। এতে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি চড়া হবে। আবার সুদের হার বাড়ানো শুরু হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা কমবে।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল লড়াই এখনও অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় সেটা নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আরব বিশ্বের নেতারা। ইতোমধ্যে গাজায় ত্রাণ পৌঁছতে আরম্ভ করেছে। 

তেলের বাজার বিশ্লেষণ প্রদানকারী ভান্দা ইনসাইটসের প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি বলেন, উত্তর গাজায় স্থল আক্রমণ বন্ধ করছে ইসরায়েল। বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তি দিতে আলোচনা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এটি মূলত কূটনীতির ফসল। ফলে তেলের দরপতন ঘটেছে।